কর্ণসুবর্নের_ইতিহাস

কর্ণসুবর্নের_ইতিহাস
আনুমানিক (৩৮০-৪১৫ খ্রি:) দ্বিতীয় চন্দ্র গুপ্তের রাজত্বের সময় কর্ণসুবর্নে রাজা কর্ণ সেন সিংহাসনে বসেন। তার দান ধ্যানের জন্য তাকে দাতা কর্ণ বলা হতো। রাজা কর্নের গোসালা ছিল বলেই পশ্চিমে এক জায়গার না গোকর্ণ। চিনা পরিব্রাজক ইত সিং বলেন এটি নালন্দা থেকে ২৪০ মাইল দূরে গঙ্গার তীরে অবস্থিত। স্থানটি নির্ণীত হয় কর্ণসুবর্ণ। কর্ণসুবর্ন নগরের পত্তন সম্রাট অশোকের সময় শুরু হয়েছিল এই কথা বলার কারণ হলো অশোকের প্রতিকৃতির প্রস্তর ভাস্কর্য কর্নসুবর্ন এ পাওয়া গেছে। কর্ণসুবর্নের স্তুপগুলো মোর্য আমলেই তৈরি। কর্নসুবর্ণ খননের প্রত্নতাত্ত্বিক সুধীর রঞ্জন দাস বলেছেন – ‘ বঙ্গদেশের কর্ণসুবর্নেই বৌদ্ধ ধর্মের সর্ব প্রথম প্রবর্তন অসম্ভব নয়। হিউ এন সাং এর বিবরণী পাঠে মনে হয় বঙ্গদেশে ঐ সময় কর্ণসুবর্ণই বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান কেন্দ্র ছিল।

কর্ণসুবর্নের_ইতিহাস

#রাজা কর্ণের রাজত্ব কালে মহা নাবিক বুদ্ধ গুপ্ত কর্ণসুবর্ণের বৌদ্ধ শমণ দের আশীর্বাদ নিয়ে বানিজ্য করতে যান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দে ।
#রাজা চন্দ্র বর্মা ও রাজা কর্ণের পর ষষ্ঠ শতকে কর্ণসুবর্ণে রাজা জয়নাগ রাজত্ব করতেন। মালিয়া তাম্রপত্রে  রাজা  জয় নাগ কে বৈষ্ণব বলে উল্লেখ করেছে।
#এর পর মহা পরাক্রমী রাজা শশাঙ্ক গৌরদেশের রাজধানী কর্নসুবর্নে বসেন। যার আসল নাম ছিল নরেন্দ্র গুপ্ত যিনি মহাসেন গুপ্তের পুত্র বা ভাইপো ছিলেন। যত দূর জানা যাই তিনি গুপ্ত বংশের সন্তান ছিলেন। গুপ্ত শাসনের শেষ দিকে কর্ণসুবর্ন কে বেছে নেন। নিজেকে স্বাধীন রাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বাংলা, বিহার,উড়িশা,মগধ, বুদ্ধগয়া,উৎকল,কনজ জয় করেন। তিনি ৬০৬ থেকে ৬৩৭ খিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
#শশাঙ্ক পুত্র মানব মাত্র ৮ মাস রাজত্ব করেন।
#শশাঙ্কের মৃত্যুর পর মুর্শিদাবাদ তথা সমগ্র গৌড় রাজ্যে একশো বছর ধরে চলে মাৎসন্যায়।
বিশৃঙ্খলা , অরাজকতা, অশান্তি আর ছোটো রাজাদের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ চলে এই সময়।
#শশাঙ্কের মৃত্যুর পরে সপ্তম শতকের পঞ্চম দশকের প্রথম দিকেই কামরূপ রাজা ভাস্কর বর্মন গৌড় জয় করেন। কর্নসুবর্ণে তার জয় স্কন্দ বার তৈরী করেন। কিন্তু গৌড়ের ওপর তার কর্তৃত্ব বেশিদিন টেকেনি। কারণ কিছুদিনের মধ্যে তিব্বত রাজ স্র – ত -সন গ্যম্পো কামরুপ জয় করেন। এ জন্য কর্ণসুবর্ন ও তার অধিকার এ আসে।
এ সময় কর্ণসুবর্ণে কে রাজা ছিল সঠিক ভাবে জানা যায়না। কেউ বলেন মহাধিরাজ উপাধি নিয়ে রাজা জয়নাগ রাজত্ব করতেন।
#রাজা শশাঙ্কের আগে ও পরে বহু রাজাই গৌড় রাজ্যের রাজধানী কর্ণসুবর্ণের  সিংহাসনে বসেছেন। সেইসব ইতিহাস আজও অজানা থেকে গেছে।
তথ্য সূত্র: মুর্শিদাবাদ ভূখণ্ডের ইতিহাস কোটি কোটি বছরের
অরূপ চন্দ্র।
বৈষ্ণব ধর্ম চর্চা  ও মুর্শিদাবাদ
রমাপ্রসাদ ভাস্কর